Posts

Showing posts from April, 2018

অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ার শক্তিশালী তদবির.The best way to become the owner of money wealth

 আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ইনশাল্লাহ আজকে খুবই চমৎকার একটি আমল আমি আপনাদেরকে শিখিয়ে দেবো ... আমলটি হল অতি তাড়াতাড়ি বিত্তবান বা সম্পদশালী হওয়ার আমল ... এই আমলটি করলে ইনশাল্লাহ  খুব তারাতারি সময়ের ভিতরে বিত্তবান হওয়া যাবে  ধনী হওয়া যাবে... আল্লাহ তাআলা আপনার যেকোন প্রয়োজন মিটিয়ে দিবে ইনশাল্লাহ  পূরণ করবে... আমল করার নিয়ম আমি বলে দিচ্ছি আপনাকে ফজর নামাজের পরে প্রথমে সূরা ইয়াসিন পড়তে হবে এরপর আপনাকে ইয়া মালিকুল  আজিজু এটি 786 বার পড়তে হবে..এর পর দোয়া করতে হবে ...আর যারা সুরা সুরা ইয়াসিন না পারেন তারা শুধুমাত্র ইয়া মালিকুল আজিজু এটি 786 বার পড়বেন... এরপর মাগরিব নামাজের পরে ইয়ামালিকুল   আজিজু এটি 786 বার পড়বেন আর যদি পারেন এর সাথে সূরা ওয়াকিয়া পড়বেন... আর যারা মাগরিব নামাযের পরে এই আমল করতে পারবেন না তারা শুয়ার সময়ও করতে পারবেন কিংবা এশার নামাজের পরেও করতে পারবেন. ইনশাআল্লাহ আল্লাহর হুকুমে অল্পসময়ের মধ্যে আপনি অফুরন্ত সম্পদের মালিক হবেন... সব সময় ওযু অবস্থায় থাকবেন নামাজ পড়বেন এবং সত্য কথা বলবেন... অবশ্যই আতর ব্যবহার করবেন... এই আম

জ্বীন সাধনা..what is jinn?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ইনশাআল্লাহ আমি আজকে শিখাবো জিন সাধনা আপনি কিভাবে করবেন এবং কিভাবে করলে আপনি এই সাধনায় সফলতা লাভ করবেন..  জিন হচ্ছে আল্লাহ তাআলার মাখলুক অদৃশ্য জগতের প্রাণী.. জিন শব্দের অর্থ  গুপ্ত এদেরকে দেখা যায় না... জ্বীন সাধনার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হল সুরা জিন দিয়ে আমল করা.. জিনকে বশ করা অনেক কঠিন অনেক কঠিন অনেক কঠিন... জিনকে বশ করতে হবে আপনাকে আরবি মাসের শুরুতে যে বৃহস্পতিবার আসে সেই বৃহস্পতিবার থেকে আমল শুরু করতে হবে এর জন্য আপনাকে আলাদা একটি ঘর বেছে নিতে হবে.. সেই ঘরে দিনে এবং রাতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না.. সেই ঘরের আলো সব সময় নিভিয়ে রাখবেন.. আমল করার পূর্বে আপনি যে জায়গায় আমল করবেন সে  জায়গাটি আগরবাতি জ্বালিয়ে সুবাসিত করে  নিতে হবে. আপনাকে 41 দিন নিরামিষ খেতে হবে. আমল সম্পর্কে কাউকে কোনো কথা বলা যাবে না. যে জায়গায় আমল করবেন সে জায়গায় জায়নামাজ বিছিয়ে পশ্চিমমুখী হয়ে বসে সেই জায়গার চারদিকে বন্ধ করে নিতে হবে.. প্রথমে একটি ছুরি  তার ওপরে আয়াতুল কুরসী সাতবার এবং চারকুুল সাতবার করে পরে তার চারদি

মৃত ব্যক্তিদের আগাম তালিকা..In advance list of dead people

আসমানে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত ফেরেশতারা সারা বছরের হিসাব একরাতে লিখে রাখেন.. এবছর এমন এমন কাজ হবে... আগামী বছর কারা কারা ইন্তেকাল করবে তাদের তালিকা এ রাতেই ফেরেশতাদের হাতে চলে আসে..  হাই মানুষ দুনিয়াতে উদাসীনতা আর খেল তামাশায় মত্ত অথচ আসমানে এদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেছে... এদের মৃত্যুর কথা ফেরেশতাদের মাঝে ঘোষণা হয়ে গেছে... এতে না কারো কোন সুপারিশ কার্যকর হবে না কারো আপিল করা যাবে... আর না মৃত্যুর নির্ধারিত সময় থেকে সামান্য সময় দেরি করা হবে...  হযরত ইবনে আব্বাস বলেন কদর রাত্রে লওহে মাহফুজে আগামী বছরের গঠিত সকল বিষয়াদির লিপিবদ্ধ করা হয়.. অর্থাৎ এ বছর এ পরিমাণ রিজিক দেওয়া হবে...  অমুক অমুক লোক মারা যাবে ..অমুক অমুক শিশু জন্মগ্রহণ করবে.. এই পরিমাণ বৃষ্টি বর্ষিত হবে.. কারা কারা এ বছর হজ করবে এদের নাম লেখা হয়... এক হাদীসে আছে  ইবনে আব্বাস বলেন তোমরা বহু লোককে দেখবে তারা হাটবাজারে ঘোরাফেরা করে চলছে অথচ এদের নামে এ বছরে  মৃত ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে গেছে.. এই রাতে পূর্ণ বছরের সকল বিষয় তথা ভালো-মন্দ রিযিক হায়াত ইত্যাদি ফেরেশতাগণ ভাগ করেন... শবে বরাতে পূর্ণ এক বছরের

জ্বীন কর্তৃক মানুষ অপহরণ Kidnapping man by jinn

হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবু লাইল বলেন তার গোত্রের এক লোক এশার নামাজ আদায়ের জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি.. তার স্ত্রী হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর দরবারে গিয়ে হাজির হয়ে তার স্বামীর কথা জানালো... হযরত ওমর স্ত্রীকে 4 বছর অপেক্ষা করে অন্য জায়গায় বিয়ে বসতে অনুমতি দিলেন.... চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ওই স্ত্রীটি অন্য জায়গায় বিয়ে বসলেন... বিয়ের কিছুদিন পর তার স্বামী ফিরে আসলো... লোকেরা তার ফিরে আসার কথা হযরত ওমর রা. কে জানালেন .. হযরত ওমর সেই লোকটার কাছ থেকে জানতে চাইলেন তিনি এতোদিন কোথায় ছিলেন... লোকটি বলল আমার এক অসুবিধা ছিল.. হযরত ওমর জিজ্ঞেস করলেন কী অসুবিধা ছিল.. লোকটি বলল আমি এশার নামাজ আদায় করতে ঘর থেকে বের হলে জিনেরা আমাকে বন্দী করে নিয়ে যায়... এবং তাদের মাঝে আমি অনেকদিন থাকি... এরপর মুসলিম জ্বীনদের সাথে তাদের যুদ্ধ হয়... এই যুদ্ধে মুসলিম জিনেরা বিজয়ী হয়.. মুসলিম জ্বীনেরা ও মুসলিম জ্বীনদের জেলখানা থেকে আমাকে সহ আরোও অনেক কে  মুক্ত করেন...  মুসলিম জিনেরা আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি কোন মাযহাবের লোক... আমি বললাম আমি মুসলমান... তারা বলল তুমি আমাদের ধর্

হাজারো হাজত আশা আখাঙ্খা পূরন হওয়ার তদবির The best way to meet hope

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ইনশাআল্লাহ আমি আপনাদেরকে শিখাবো হাজারো আশা-আকাঙ্খা পূরণ হওয়ার আমল. এই আমলটি হযরত খিজির আলাইহি সালাম 1 আবেদকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন..  হযরত খিজির আঃ সালাম এমন এক ব্যক্তি ছিলেন তিনি যেখানে বসবেন সেখানেই সবুজ হয়ে যেত. হযরত খিজির আঃ  যে দোয়া  করতেন সেই দোয়া আল্লাহতায়ালা কবুুুল করতেন.  অনেক আলেমগণ বলেছেন তিনি আবু হায়াত নামক এক ঝরনার পানি পান করার কারনে উনি এখনো জীবিত রয়েছে.. . হযরত খিজির আঃ  সালাম কোন এক আবেদকে এইভাবে দু'রাকাত নফল নামাজ পড়তে শিক্ষা দিয়েছেন যে প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সূরা কাফিরুন 10 বার পড়তে হবে... দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সূরা তুল  এখলাস ১১বার পড়তে হবে... এরপর আত্তাহিয়াতু ও দরুদ ইব্রাহিম ও দোয়া মাসুরা পড়ে নামাজ শেষ করতে হবে.. . নামাজ শেষ করে আপনাকে আবার সেজদায় গিয়ে এই দোয়া টি 10 বার পড়তে হবে..দোয়াটি এই .. সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লা ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম..এর পর ১০ বার রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখ

শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী কারা..Who are the best wishers?

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন পরিতাপ ঐ ব্যক্তির জন্য, যে মৃত্যু সম্পর্কে উদাসীন অথচ মৃত্যু তার থেকে উদাসীন নয়... পরিতাপ ওই ব্যক্তির জন্য যে দুনিয়া তালাশে মগ্ন অথচ মৃত্যু তাকে খুঁজে বেড়ায়...  পরিতাপ ওই হতভাগার জন্য যে হাসি তামাশায় মত্ত অথচ সে জানে না আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট না অন্তুষ্ট.... হযরত ইবনে ওমর বলেন আমরা দুশ জন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর দরবারে উপস্থিত হলাম... একজন আনসারী সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর নবী সবচেয়ে বড় জ্ঞানীকে এবং সবচেয়ে অধিক হুশিয়ার কে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন যারা অধিক পরিমাণে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং অধিক পরিমাণে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়.. এরাই দুনিয়া ও আখিরাতের  সম্মানিত ব্যক্তি.....  মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করার মাঝে অনেক বড় বড় উপকার রয়েছে... এর দ্বারা দুনিয়ার প্রতি বড় বড় আশা কমে যায়... মৃত্যুর প্রস্তুতি নেয়া যায়.. দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা কমে যা... মাল ও সম্পদ জমা করে অহেতুক ছেড়ে যাওয়ার আগ্রহ কমে যায়..... তওবার সুযোগ হয়.. জ

সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত..The excellence of the last two verses of Surat Taubah is the Fajilat

কোন ব্যক্তি এই আয়াত শরীফ প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে পাঠ করবে আল্লাহ তাআলার রহমত সকল প্রকার রোগ হতে মুক্তি পাবে.. কাজে সফল হবে সম্মান বৃদ্ধি পাবে অভাব-অনটন দূর হবে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাবে এবং তার আয়ু বৃদ্ধি পাবে.... প্রত্যহ 41 বার এই আয়াত পাঠ করলে স্বপ্নযোগে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সা ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাত লাভ হবে...  প্রত্যহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই আয়াত কয়েকবার পাঠ করলে মহান আল্লাহর রহমতে দীর্ঘজীবন লাভ হবে...  প্রত্যহ 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন মিথ্যা বলবেন না খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকবেন... আস্তাগফিরুল্লাহ বেশি বেশি পড়বেন এতে আল্লাহর রাগ ঠান্ডা হবে... আতর ব্যবহার করবেন ওযু অবস্থায় বেশি বেশি  থাকবেন.. নফল নামাজ বেশি বেশি পড়বেন এতে আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক হবে.  দুনিয়া আর আখিরাতের ভিতর যা কিছু আছে সব কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা..... দুজাহানের মধ্যে যা কিছু আছে সমস্ত খাজানার মালিক তিনি ... আল্লাহ তা'আলা যাকে চান তাকে সম্মান দান করেন সুখী করেন এবং দুঃখীও  করেন....  তাই আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি দোয়া করবেন যত বেশি দোয়া করবেন ততই আল্লাহ   আমাদের  উপর র

সূরা আল ইমরানের দুইটি আয়াতের ফজিলত..The Virtues of the Two Verses of Surah Al-Imran

 আয়াত নাম্বার 26-27... প্রত্যহ ফজর ও মাগরিব নামাজের পর এই আয়াত কমপক্ষে 7 বার পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে ঋণ মুক্ত হবে এবং শত্রু পরাস্ত হবে....  প্রত্যহ 5 ওয়াক্ত নামাজের পর এবং শোয়ার সময় সাতবার করে পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে অভাবনীয় রূপে উপার্জন বৃদ্ধি পাবে.. দারিদ্রতা দূর হবে এবং সকল দিক দিয়ে সফলতা নসিব হবে... আয়াত দুটির বাংলা উচ্চারণ ... কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তুউতি মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানজিউল মুলকি মিমমান তাশাউ ওয়া তুয়িজ্জু মান তাশাউ ওয়া তু জিল্লু মান তাশাউ...বিইয়াদিকাল খাইর.. ইন্নাকা আলা কুল্লি শায়য়িন কদির...তুউলিযুল লাইলা ফিননাহারি ওয়া তুউলিজুন নাহারা ফিল লায়লি..ওয়া তুখরিজুল হাইয়া মিনাল মায়্যিতা ওয়া তুখরিজুল মায়্যিতা মিনাল হায়্যি ওয়াতারযুকু মান তাশাউ বিগয়রি হিসাব...  হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের রা. বর্ণনা করেন একদা গভীর অন্ধকার রাতে বৃষ্টিপাতের মধ্যে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই  ওয়াসাল্লাম এর খোঁজে বাহির হইলাম...  খুঁজে খুঁজে তাকে পেয়ে গেলাম... অতঃপর তিনি বললেন আবদুল্লা তুমি পাঠ করিও... আমি বললাম কি পাঠ করবো? মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন প

সূরা ইয়াসিন এর ছোট্ট একটি আয়াত দিয়ে মোয়াক্কেল হাজির করার শক্তিশালী তদবির

Image
 ইনশাআল্লাহ এই আমলটা খুব পরীক্ষিত এবং সফল হওয়ার মতো আমল... ছালামুন কাওলাম মিররাব্বির রহিম এই আমল সম্পর্কে বলতে গেলে বলে শেষ করা যাবেনা...এই আমলটি করতে পারলে যে ব্যক্তি সফল হবে তার জীবনে কোন কিছুর অভাব থাকবে না... সেই ব্যক্তি চাইলে যেকোনো কাজ মক্কেল দিয়ে করিয়ে নিতে পারবে.. মক্কেল হলো আয়াতের গোলাম... এরা আমল কারীর যেকোনো আশা-আকাঙ্খা পূরণ করিয়ে দিতে পারবে... এই আমলটি করতে হলে 41 দিনের জন্য আমলের জায়গা নির্বাচন করে  নিতে হবে... অনেক সময় আমলে সফল হতে পাঁচ মাস সময় লাগে... আমলের নিয়ম, আরবি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পরে  রাত 11 টার পরে আপনি আমল শুরু করবেন... যে জায়গায় আমলটি করবেন  সেই  জায়গাটি আগরবাতি জ্বালিয়ে সুবাসিত করে নেবেন .. শরীরে সুগন্ধি আতর মাখবেন... আমল করার পূর্বে প্রথমে কিছু ছদকা  করে নিবেন... আমল যে জায়গাটিতে করবেন সে জায়গাটি নির্জন হতে হবে... প্রতিদিন একই সময় আমল করতে হবে আমল সম্পর্কে কাউকে কোনো কিছু বলা যাবে না... আমলটি যতদিন  করবেন ততদিন ওই ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না. ঘরটি অন্ধকার করে রাখলে ভালো হবে কিংবা ডীপ লাইট জ্বালিয়ে রাখতে পারে

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর পূর্বে যে আমল করতেন..The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) used to do the deeds before sleeping

হযরত আয়েশা রাযি.বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল যে, রাত্রে যখন ঘুমাইবার জন্য শয়ন করিতেন তখন উভয় হাতকে মিলাইতেন এবং কুলহু আল্লাহু আহাদ এবং কুল আউযুবি রব্বিল ফালাক অর্থাৎ সুরা এখলাস ও সুরা ফালাক পড়িয়া হাতের উপর ফু দিতে.. অতঃপর উভয় হাতে ফুদিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সেই হাত বুলিয়ে দিতেন... প্রথমে মাথায় এবং চেহারা এবং শরীরের সামনের অংশে বুলাইতেন... এই আমল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার করিতেন হাদীসটি আবু দাউদ শরীফ থেকে  এসেছে....  এই আমলটি করলে ইনশাল্লাহ কোনো প্রকার কুফুরি কালাম তার উপর কাজ করবে না  শত্রু কোন যাদু বান করলে কাজ করবে না... এই আমলটি শোয়ার পূর্বে অযু করে নিবেন...  আমাদের শরীরে যাদুটোনা রাত্রে আছর করে এই রাত্রে নতুন নতুন অসুখ মানুষকে আক্রান্ত করে ইনশাআল্লাহ এই আমলের বরকতে এগুলো আর আসর করতে পারবে না... কাউকে নতুন অবস্থায় জ্বীন পরী কোন  যাদু টোনা আক্রান্ত করতে পারবেনা... আল্লাহ তা'আলা তার জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করে রাখবেন তার পাহারার জন্য .. ইনশাআল্লাহ সে যাবতীয়   বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকবে শত্রু তাকে কোন কিছুই করতে পারবেনা..

মানুষ যা বলে তা যদি করতোIf people would say what they said

হযরত সাকিকইবনে  ইব্রাহিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মানুষ চারটি  বিষয় বলার ক্ষেত্রে আমার মতোই বলে কিন্তু আমলের ক্ষেত্রে বিপরিত করে... ১. মানুষ শিকার করে তারা আল্লাহর বান্দা ও গোলাম  অথচ কাজ করে স্বাধীন ও আযাদ  ব্যক্তির ন্যায়... ২.. মানুষ বলে আমাদের রিযিকের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে.. অথচ দুনিয়ার কোনো বস্তু তাদের অর্জিত হওয়ার পূর্বে তারা অন্তর থেকে আল্লাহতায়ালাকে জিম্মাদার হিসেবে পূর্ণ ইয়াকিন ও তার উপর ভরসা করে না... ৩.. মানুষ শিকার করে আখিরাত দুনিয়া থেকে শ্রেষ্ঠ.. অথচ তারা দুনিয়ার সম্পদ অর্জনে সর্বদাই ব্যস্ত থাকে.. আখিরাতের ব্যাপারে কোনো চিন্তাই নেই... ৪... মানুষ বিশ্বাস করে মৃত্যু নিশ্চিত আসবেই অথচ আমলের ক্ষেত্রে ঐ সকল লোকদের মত হয়ে যায় যেন মৃত্যু কখনই আসবে না...  হযরত আবু হামেদ লাফফাফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এক স্থানে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে তার জন্য মূল্যবান তিনটি জিনিস অর্জিত হয়... ১.. তওবা দ্রুত কবুল হয় ২...সম্পদে অল্প তুষ্টি নসিব হয়.. ৩.. ইবাদতে আনন্দ ও মনোযোগ সৃষ্টি হয়. আর যে মৃত্যু থেকে উদাসীন তার উপর তিন প্রকারের আজাব আপতিত হয়...

মৃত লাশ থেকে শিক্ষা ...Education from dead bodies

একজন হাকীম এক ব্যক্তির লাশ দাফনের কাজে যাচ্ছিলেন... পথের মধ্যে দেখলেন লোকেরা মৃত ব্যক্তির জন্য চিন্তা করছে এবং পেরেশান হচ্ছে... তিনি বললেন হে লোক সকল নিজেদের জন্য চিন্তা কর... নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফিকির কর... এটাই তোমাদের উপকারে আসবে... এ ব্যক্তি তো চলে গেল এবং তিন প্রকার বিপদ মুসিবত থেকে রক্ষা পেল... ১.. জীবনে আর কখনো মালাকুল  মওত তথা প্রাণহরণ কারি ফেরেশতার ভয় আর করতে হবে না.. .2. মৃত্যুর যন্ত্রণা আর পাবে না ৩... শেষ পরিণতি খারাপ হওয়ার ভয়ও রইলো না...( নিজেরা নিজেদের জন্য চিন্তা কর যে এ তিনটি ঘাঁটি তোমাদের জন্য অপেক্ষমান...)  হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন আমার বড়ই আফসোস হয় সে সকল লোকদের প্রতি যাদের ওপর আদেশ এসেছে পরকালের প্রস্তুতি নেয়ার এবং  যাদের যাত্রাপথ খুবই নিকটে অথচ তারা দুনিয়ার খেল-তামাশায় লিপ্ত...  হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি  যখন কোন লাশ দেখবেন চিন্তা ও পেরেশানিতে তার অবস্থা এমন হতো, যেন এইমাত্র নিজ মাকে দাফন করে এসেছে....  এক হাদীসে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কবরে মৃত ব্যক্তিকে এমন কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় যার আওয়াজ দুনিয়ার

সুরা ইয়াছিন দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করার শক্তিশালী তদবির...The way achieve success

যাদের বিপদ বেশী আর জীবন হতাশা গ্রস্থ তারা নিয়মিত সকাল সন্ধ্যা সুরা ইয়াছিন তেলাওয়াত করবেন ...যে ব্যক্তি সুরা ইয়াছিন পড়বে তার সারাদিনের যত কাজ আছে আল্লাহ তালা তার নিজ দায়িত্বে ফেরেশতাদের মাধ্যমে তার কাজ সহজেই করিয়ে দেবে  ..তা মোন ফুরফুরে থাকবে. কাজে সফলতা আসবে ..মনে প্রশান্তি আসবে ...আল্লাহর রহমত তার সাথে সর্বদা থাকবে ....আল্লাহ তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার রহমত দ্বারা তাকে আগলিয়ে রাখবে ইনশাল্লাহ ... যে ব্যাক্তির সুরা ইয়াছিন পড়া যতই ভালো লাগবে তার জীবনে কোন অভাব তাকে স্পর্শ করতে পারবে না...তার সাথে যদি কেউ শত্রুতা করে তাহলে সেই শত্রু নিজেই বিপদে পড়তে থাকবে আমল কারী ব্যক্তির একটা পশমও বাকা করতে পারবে না ইনশাল্লাহ . ..এই জন্য আমল কারী যেন সকাল সন্ধ্যা সুরা ইয়াছিন একবার করে তেলাওয়াত করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চায় আল্লাহ স্বয়ং তাকে সাহায্যে করবে . ..এর ফলাফল বেশি করার জন্য এর সাথে অবশ্যই মাগরিব নামাজের পরে সুরা ইয়াছিনের সাথে সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করবেন ...আল্লাহ রিজিকের সমস্যার সমাধান করে দিবেন ইনশাল্লাহ ... তবে একটু ছদকা করলে আমলের ক্ষমতা তিন গুন বৃদ্ধি পাবে .. সর্বদা অজ